১. বরযাত্রা শুরু হবে, এসময় দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ কেউ উপস্থিত নেই। খুঁজতে গেলে জানা যাবে তিনি শেভ করতে সেলুনে নয়তো জুতা পালিশ করতে গেছেন।
২. যথাযথভাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি এই অভিযোগে কিছু আত্মীয়স্বজন অনুষ্ঠান বর্জন করবে।
৩. বর বা কনের চাচা এবং মামা পক্ষের মধ্যে একটা রেষারেষি থাকবেই। বিয়েতে কোন পক্ষের কর্তৃত্ব বেশি হবে সেটা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলবে।
৪. গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বর বা কনের দুলাভাই টাইপের কেউ অভিমান করবে। তার মান ভাঙাতে অন্য মুরুব্বিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবে।
৫. কনের বাড়িতে গেট দিয়ে ঢোকার সময় টাকা দেয়া নিয়ে ব্যাপক দেনদরবার হবেই। কখনও কখনও এটা মারামারির পর্যায়ে চলে যাবে। মেয়েরা একগ্লাস চিনি ছাড়া শরবত দিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করে বসবে।
৬. বরযাত্রীরা কখনই যথাসময়ে কনের বাড়ি পৌঁছাতে পারবে না এবং নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বরযাত্রী বেশি হবেই। এটা নিয়ে তাদেরকে কনে পক্ষের খোঁটাও হজম করতে হবে।
৭. পাত্র পক্ষের দেয়া শাড়ি কিংবা গহনার মান নিয়ে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত কনের খালা/ফুফুরা বেশি ভূমিকা পালন করে।
৮. মেয়ের বাবা কর্তৃক ছেলের যোগ্যতা অনুযায়ী "খুশি করে দেয়া" (যৌতুক নয় কিন্তু) নিয়েও বাদানুবাদ হবে।
৯. খাবার নিয়ে একটা ঝামেলা হবে, অনেক সময় অতিরিক্ত মেহমানের কারণে কোনো একটা নির্দিষ্ট আইটেমের শর্ট পড়বে, আর সেটা নিয়ে তুলকালাম বেধে উঠবে। অনেকেই খাসির মাংস খায় না অজুহাত দেখিয়ে মুরগির রোস্ট ডাবল নেওয়ার চেষ্টা করবে। পরে আবার খাসির মাংসের আইটেমটাও নেবে।
১০. কোনো তরুণীকে বিরক্ত করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে শোরগোল এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হবে।
১১. বর বা কনে যতই সুন্দর হোক না কেন দাওয়াতে আসা কিছু মানুষ খুঁত খুঁজে বের করবেই।
১২. নতুন বউয়ের দোষ প্রথম খুঁজে পাবে বউ দেখতে আসা পাশের বাড়ির মহিলারা। এটা গ্রামে চাউর হবেও তাদের মাধ্যমে। খাবারের মান নিয়েও এরা প্রশ্ন তুলবে।
১৩. বরের জুতা চুরির ঘটনা ঘটবে, আর তা জিম্মি করে নিরীহ গোবেচারা বরের কাছ থেকে টাকাও বাগিয়ে নেওয়া হবে।
১৪. রঙ দিয়ে একে অপরকে রাঙানোর নামে হালকা মল্লযু'দ্ধ তুমুল হট্টগোলে রূপ নেবে।
সব শেষে সবাই সবাইকে বলবে, কিছু মনে করবে না ভাই, বিয়েশাদীতে এরকম টুকটাক হয়েই থাকে। আমরা আমরাই তো। এটাই বাস্তব।
0 মন্তব্যসমূহ