একজন স্বামীর সবচেয়ে বড় শক্তি তার স্ত্রীর মুখের হাসি, আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা—তার স্ত্রীর চোখের অশ্রু। স্বামী যেন এক যোদ্ধা, যিনি প্রতিদিন জীবন নামক যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েন। বাইরে শত প্রতিকূলতা, চাপ, কষ্ট—সব কিছু সহ্য করেও তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন অবিচল, কারণ তার মনে থাকে একটি আশ্রয়স্থল
তার নিজের ঘর, তার ভালোবাসার মানুষটি। কিন্তু সেই ঘরে ফিরে যদি তার স্ত্রীর চোখে অশ্রু দেখতে পান, তাহলে ভেতরের সেই যোদ্ধাটি মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে।
পুরুষরা হয়তো সমাজে কঠিন, দৃঢ়, শক্তিশালী হিসেবে পরিচিত, কিন্তু স্ত্রীর চোখের জল তাদের হৃদয়ের এমন এক জায়গায় আঘাত করে, যেখানে পৃথিবীর কোনো বুলেটও পৌঁছাতে পারে না। সেই অশ্রু যেন বলে দেয়—"তুমি সব জয় করলেও আমাকে সুখ দিতে পারোনি!" আর এই অনুচ্চারিত কথাটাই একজন স্বামীকে মানসিকভাবে পরাজিত করে দেয়।
তাই, একজন স্ত্রী যদি চায় তার স্বামী সবসময় শক্তিশালী থাকুক, হাসিখুশি থাকুক, সাহসিকতার সঙ্গে জীবনযুদ্ধে জয়ী হোক—তাহলে সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারে সে নিজেই। তার অশ্রুহিন চোখ, মুখের একটি হাসি, একটি প্রশান্ত কণ্ঠের সান্ত্বনা, একটি উৎসাহব্যঞ্জক বাক্য—এই সামান্য কিছুই একজন স্বামীকে নতুনভাবে জীবন সংগ্রামের শক্তি জোগাতে পারে। যা কোনো ওষুধ, কোনো সম্পদ, কোনো শক্তিই দিতে পারে না। তাই স্ত্রীদের প্রতি অনুরোধ—আপনার হাসি হোক আপনার স্বামীর রক্ষাকবচ, আর আপনার ভালোবাসা হোক তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
একজন স্বামী যদি বিশ্ব জয় করেও নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হারায়, তবে সে সত্যিকার অর্থে কিছুই পায়নি। আর একজন স্ত্রী যদি নিজের হাসি ও সান্ত্বনায় তার স্বামীকে জীবনের প্রতিটি যুদ্ধ জেতাতে পারে—তবে সেই স্ত্রীই একজন মহান জীবনসঙ্গিনী।
0 মন্তব্যসমূহ